১) খাবারের খরচ নেই

অন্য গাছের মতো ফ্যান্সি ফ্যান্সি ফার্টিলাইজার লাগে না। টাকা বাঁচল—সোজা দোকানে গিয়ে গরম রসগোল্লা খান। গাছও বাঁচবে, আপনিও বাঁচবেন। এক ঢিলে দুই পাখি, তবে পাখি ধরে আনার দরকার নেই।
২) টব-টব ঝামেলা নেই

টব কিনতে পকেট ফাঁকা? আরে ধুর! এক প্লেট বিরিয়ানি খান, কন্টেনারটা কেটে ফুটো করে নিন। খাওয়াও হলো, টবও হলো। “বিরিয়ানি খাই, অর্কিড বাঁচাই”—নতুন সামাজিক বার্তা।
৩) কীটনাশক? না মশাই!

কীটনাশকের পিছনে হাজার হাজার টাকা? রাখুন একটা কাকা। তবে সাবধান, নিজের পাড়ার কাকাকে টানাটানি করবেন না। একবার আমি করেছিলাম, কাকিমা পাড়াসুদ্ধ সবাইকে গালাগাল করেছিল।
৪) মিডিয়া? কাঠের খেলা!

কোনো রিপটিং এর হ্যাপা নেই। রাস্তার ধারে কাঠ পড়ে আছে—তুলে আনুন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন—“আগুন আবিষ্কারের প্রোজেক্ট চলছে।” সোজা নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাবেন।
৫) টব নিয়ে টানা-পোড়েন নেই

ভারী টব নাড়াচাড়া করতে কষ্ট? বাদ দিন। অর্কিড একবার কাঠে লাগালে চার-পাঁচ বছর নড়াচড়া করতে হয় না। পিঠের ব্যথা নেই, ফিজিওথেরাপির খরচ নেই।
৬) ফাঙ্গাসের ভয় নাই

ফাঙ্গাস? নাম শুনলেই অনেকে ভয়ে ডায়েট শুরু করে দেয়। বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হলে যেমন ওষুধ লাগে, তেমনই বর্ষায় সপ্তাহে একবার রিডোমিল গোল্ড দিন। আপনার অর্কিড টনটনে ফ্রেশ থাকবে। মনে রাখবেন, গাছের জন্য রিডোমিল গোল্ড আর অর্ধাঙ্গিনীর জন্য ২২ ক্যারেট গোল্ড আপনাকে সুস্থ রাখবে। ![]()
৭) মরে গেলেও বাঁচে!

অর্কিড হলো গাছ জগতের ফিনিক্স। শুকিয়ে গেলেও আবার উঠবে। কতবার মরবে আর কতবার জেগে উঠবে—গুণতে গিয়ে আপনি স্নাতকোত্তর হয়ে যাবেন। এ যেন এক মিরাকেল। তবে হ্যাঁ, চিকু বা শ্রীলেখা কে খুঁজে পাবেন না।
৮) জল দেওয়ার tension নাই

সকালবেলা রোদ ওঠার আগে জল দিন। বর্ষায় বৃষ্টি হলে গাছও ভিজবে, আপনিও ভিজবেন—মনের আনন্দে। যতক্ষণ না মা খুন্তি হাতে দৌড়ে আসছে—“ভিজে গিয়ে আবার সর্দি হবে, তারপর ডাক্তারখানায় আমাকেই নিয়ে যেতে হবে।”
Extra Tip: বিরিয়ানি-রসগোল্লা খেলেই কন্টেনার নিতে ভুলবেন না। প্লাস্টিকের কন্টেনার শুধু অর্কিডই বাঁচাবে না, পরিবেশকেও বাঁচাবে।
